উত্তর : উপমা যুক্তি হল সাদৃশ্যের ভিত্তিতে গঠিত যুক্তি । যে সাদৃশ্যমূলক অনুমানে সাদৃশ্যের সংখ্যা , গুরুত্ব , প্রাসঙ্গিকতা বেশি , সেই অনুমানের সম্ভাব্যতাও বেশি । এরূপ ক্ষেত্রে সাদৃশ্যমূলক অনুমানকে বলা হয় ভালাে সাদৃশ্যমূলক আরােহ অনুমান যুক্তি। এরূপ ক্ষেত্রে দুটি বস্তুর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে অনুমান করা হয় ।
উদাহরণ - রাম পড়াশােনায় ভালাে ।
শ্যাম পড়াশােনায় ভালাে ।
রাম পরীক্ষায় ভালাে ফল করেছে ।
:• শ্যাম পরীক্ষায় ভালাে ফল করবে ।
এখানে ‘পড়াশােনা ভালাে’ হওয়ার সাদৃশ্যের ভিত্তিতে ‘পরীক্ষায় ভালাে ফল করা’ অনুমান করা হয়েছে । ‘পড়াশােনায় ভালো হওয়া’ এবং ‘পরীক্ষায় ভালাে ফল করা’ - দুটি বিষয়ের সম্পর্ক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বা মৌলিক । কেননা পড়াশােনা ভালাে না হলে ভালাে ফল করা যায় না । সুতরাং এই উপমা যুক্তিটির সিদ্ধান্ত অনেক বেশি সম্ভাব্য হয়েছে । তাই এটিকে ভালাে উপমা যুক্তি বলতেই হবে ।
মন্দ উপমা যুক্তি :- যে সাদৃশ্য অনুমান বা যুক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন সাদৃশ্যের ভিত্তিতে অনুমান করা হয় তাকে মন্দ সাদৃশ্যমূলক আরােহ অনুমান বা যুক্তি বলা হয় । এরূপ অনুমানে সাদৃশ্যের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা খুবই কম ।
উদাহরণ - রাম লম্বা ।
শ্যাম লম্বা ।
রাম শক্তিশালী ।
:• শ্যাম শক্তিশালী ।
এখানে ‘লম্বা হওয়া’ সাদৃশ্যের ভিত্তিতে ‘শক্তিশালী হওয়া’ অনুমান করা হয়েছে । কিন্তু ‘লম্বা হওয়া’ এবং ‘শক্তিশালী হওয়া’ - দুটি বিষয়ের সম্পর্ক প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন । কেননা , লম্বা লােক দুর্বলও হতে পারে । সুতরাং এই উপমা যুক্তিটির সিদ্ধান্ত দুর্বল ও অবান্তর হয়ে পড়েছে । তাই এটিকে মন্দ উপমা যুক্তি বলতেই হবে ।