উত্তর : প্রকৃতির একটি বিশেষ দিক নিয়ে বিজ্ঞান আলােচনা করে । ঐ বিষয়টি সম্বন্ধে যথাযথ সুনিশ্চিত সুশৃঙ্খল জ্ঞানকেই বিজ্ঞান বলা হয় ।
বিজ্ঞানের প্রধান কাজ হল তথ্য অনুসন্ধান করা এবং ঐ তথ্য সম্বন্ধে সত্যতা প্রমাণ করা । বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্তের উপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক এই তথ্য আবিস্কার করতে সক্ষম হন । প্রত্যেকটি নীতিই প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটে থাকে । বৈজ্ঞানিক ঐ প্রাকৃতিক নিয়মগুলি আবিস্কার করেন । বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন তথ্য ব্যাখ্যার জন্য অন্যান্য তথ্যের অনুসন্ধান করেন । আবার কোনাে নিয়মকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক উক্ত নিয়মকে অন্য কোনাে ব্যাপক নিয়মের অধীনস্থ করেন ।
একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে , বৈজ্ঞানিকের অনুমানের প্রাথমিক স্তর হল প্রকল্প দিয়ে প্রকল্পের সাহায্য ব্যতিরেকে বৈজ্ঞানিক কোনাে কাজ করতে পারে না । প্রকল্প প্রণয়নের যেমন কোনাে নির্ধারিত নিয়ম নেই অনুরূপভাবে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কোনাে বিশেষ নিয়ম নেই ।
অবশ্য বৈজ্ঞানিকরা সাধারণভাবে কতকগুলি পদ্ধতি অনুসরণ করেন অনুসন্ধানের জন্য ।
( ১ ) জটিল তথ্যের যথার্থ স্বরূপ নির্ণয় ।
( ২ ) বিষয় সম্বন্ধে ভাবনা চিন্তার মাধ্যমে প্রাথমিক প্রকল্প গ্রহণ ।
( ৩ ) অতিরিক্ত তথ্য অনুসন্ধান ।
( ৪ ) অনুকল্প আরােহণ ।
( ৫ ) যাচাই করণ
( ৬ ) সিদ্ধান্ত নিরূপণ ও তা কাজে লাগানাের মাধ্যম ।
উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলি প্রমাণ করে যে , বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবরােহী , আরােহী নয় ।
কোনাে সমস্যা দেখা দিলে তবে তার সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হয় এবং বিচার বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা, তথ্য অনুসন্ধান ও প্রাথমিক প্রকল্পের মধ্যেমে তার বিহিত করার চেষ্টা করা হয় । পর্যবেক্ষণ পরীক্ষণ করে প্রথম প্রকল্পের সাহায্যে সমাধান না হলে তাকে বর্জন করে সংগৃহীত তথ্যের দ্বারা প্রকল্পের গঠন করা হয় । এই নূতন প্রকল্পের থেকে অনুকল্প নিষ্কাষণ করে তার যাচাই করণ করা হয় । তারপর দেখা হয় প্রকল্প থেকে নিষ্কাষিত সিদ্ধান্ত যদি মিথ্যা হয় তবে তা আরােহিত অনুকল্প সত্য হয় এবং মূল প্রকল্পটি সত্য বলে বিবেচিত হয় । এই প্রকল্পের সত্যতার দাবি করে সিদ্ধান্ত করা হয় । অবশ্য এই সিদ্ধান্তের আকার হয় ‘সম্ভবত এটা হলে ওটা হবে’ । এই সিদ্ধান্তের প্রয়ােগ বাস্তবে যত বেশী হবে সিদ্ধান্তের গ্রহণযােগ্যতা ও সম্ভাব্যতাও তত বৃদ্ধি পাবে ।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ । সুতরাং বিজ্ঞানের গুরুত্ব প্রকল্পের গুরুত্বের কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ।