উত্তর : অবরােহ ও আরােহ যুক্তির পার্থক্যগুলি হল—
অবরােহ | আরােহ |
---|---|
( ১ ) অবরােহ যুক্তিতে এক বা একাধিক যুক্তিবাক্যের সমর্থনে সিদ্ধান্ত গঠন করা হয় । | ( ১ ) আরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্তের পিছনে সর্বদাই একাধিক যুক্তিবাক্য থাকে । |
( ২ ) অবরােহ যুক্তি সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্যে নিহিত থাকে । তাই এখানে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় । | ( 2 ) আরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্তে যুক্তিবাক্য নিহিত থাকে না । তাই এখানে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না । |
( ৩ ) অবরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত কখনও যুক্তিবাক্যের থেকে বেশি ব্যাপক হতে পারে না । অর্থাৎ , সিদ্ধান্তে ব্যাপকতা কখনও যুক্তিবাক্যের ব্যাপকতাকে অতিক্রম করে না । | ( ৩ ) আরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত সর্বদা যুক্তিবাক্যের থেকে ব্যাপক হয় । অর্থাৎ , সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা সর্বদাই যুক্তিবাক্যের ব্যাপকতাকে অতিক্রম করে যায় । |
( ৪ ) অবরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্যকে অতিক্রম করে যেতে পারে না । তাই এখানে যুক্তিবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত সত্য হবে । | ( ৪ ) আরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্যকে অতিক্রম করে যেতে পারে তাই এখানে যুক্তিবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত মিথ্যা হবে , না সত্য হবে সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই । |
( ৫ ) অবরােহ যুক্তিতে যুক্তিবাক্যের সংখ্যার সঙ্গে সিদ্ধান্ত সত্য হওয়া না হওয়া কোনাে সম্পর্ক নেই । | ( ৫ ) আরােহ যুক্তিতে যুক্তিবাক্যের সংখ্যার উপর সিদ্ধান্ত সত্য হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে । |
মন্তব্য : আমরা যুক্তি গঠন করি এবং আশা করি যে , যুক্তির সিদ্ধান্ত সত্য হােক । অবরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত সত্য হতে পারে এমন একটি সম্ভাবনার ইঙ্গিত থাকে এবং অবরােহ যুক্তিতে সিদ্ধান্তের সত্যতা প্রমাণিত হয় ।
কাজেই অবরােহ যুক্তি এবং আরােহ যুক্তি গঠন পদ্ধতি । ভিন্ন হলেও সত্যতা লাভের ভিত্তিতে এদের একটি অন্যের পরিপূরক ।