সত্য সারণীর মাধ্যমে সত্যাপেক্ষ অনুমানের বৈধতা বিচার

Clg philosophy questions answers কলেজ দর্শন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সত্য সারণীর মাধ্যমে সত্যাপেক্ষ অনুমানের বৈধতা বিচার sottya saranir madhome sattyapekho anumaner boidhota bichar


প্রশ্ন । যে বর্ণ প্রতীকের স্থানে কোনাে বিশেষ শ্রেণির অন্তর্গত কোনাে কিছুকে প্রতিস্থাপিত কর হলে তাকে কী বলা হয় ? 

উত্তর : যে বর্ণ প্রতীকের স্থানে কোনাে বিশেষ শ্রেণির অন্তর্গত কোনাে কিছুকে প্রতিস্থাপিত করা হলে তাকে গ্রাহক প্রতীক বলা হয় । 

প্রশ্ন । যদি p সত্য হয় , তাহলে p v q - এর সত্যমূল্য কী হবে ? 

উত্তর : p V q - এর সত্যমূল্য সত্য হবে । 


প্রশ্ন । সংযৌগিক বচন কোন্ শর্তে সত্য হয় ? 

উত্তর : দুটি উপাদান বচন সত্য হলে সংযৌগিক বচন সত্য হয় । 

প্রশ্ন । বচনাকার কাকে বলে ? 

উত্তর : একাধিক পদগ্রাহক প্রতীকের পর্যায়ক্রমকে বচনাকার বলা হয় । যেমন — p Ω q ।

প্রশ্ন । যােজক কাকে বলে ? 

উত্তর : যে সমস্ত চিহ্ন বা প্রতীকের দ্বারা যৌগিক বচনের নিরপেক্ষ অংশগুলিকে যুক্ত করা হয়, তাকে যােজক বলা হয় । যােজক অনেক রকম হতে পারে । যেমন — এবং , অথবা ইত্যাদি । 

প্রশ্ন । নিবেশন দৃষ্টান্ত বলতে কী বােঝায় ? 

উত্তর : বচনাকারের অন্তর্গত যেসব বচন থাকে তাদের নিবেশন দৃষ্টান্ত বলা হয় । 

প্রশ্ন । প্রতীকী যুক্তিবিজ্ঞানে ‘অথবা’ শব্দের অর্থ কী ? 

উত্তর : ‘অথবা’ শব্দটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয় দুর্বল এবং সবল । দুর্বল মানে অন্তত একটি বা সবকটি হতে পারে এবং সবল মানে কেবল একটি । 

প্রশ্ন । প্রতীক কয় প্রকার ও কী কী ? 

উত্তর : প্রতীককে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা —শাব্দিক প্রতীক ও অশাব্দিক প্রতীক । 

আমাদের ভাষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের গুণবাচক বা ক্রিয়াবাচক শব্দগুলি শাব্দিক প্রতীকের দৃষ্টান্ত । অন্যদিকে অশাব্দিক প্রতীক হল কোনাে ভাষার বর্ণমালার কোনাে বর্ণবিশেষ । 

প্রশ্ন । গ্রাহক প্রতীক কাকে বলে ? 

উত্তর : যখন কোনাে বর্ণ প্রতীকের স্থানে কোনাে বিশেষ শ্রেণির অন্তর্গত কোনাে কিছু প্রতিস্থাপিত করা যায়, তখন তাকে গ্রাহক প্রতীক বলে । যেমন — 

A - সকল মানুষ হয় দ্বিপদ । 

A - রাম হয় মানুষ । 

. : . A — রাম হয় দ্বিপদ । 

মনে করি , রাম = S 

                দ্বিপদ = P
                 
                মানুষ = M 

তাহলে গ্রাহক প্রতীকের ব্যবহারের ফলে যুক্তিটির আকার হল — 

A — M — P 

A — S — M 

A — S — P 

এখানে S , P , M হল গ্রাহক প্রতীক । এর পরিবর্তে আমরা রাম , দ্বিপদ ও মানুষকে এনেছি । 


প্রশ্ন । বচন ও সত্যমূল্য বলতে কী বুঝবাে ? 

উত্তর : আমরা আগেই জেনেছি , বচন হল ভাষায় প্রকাশিত অবধারণ । বচন এমনই এক ঘােষক বাক্য যা সত্য বা মিথ্যা হতে পারে । অর্থাৎ , সত্য ও মিথ্যাত্ব হল বচনের ধর্ম । 

আবার বচনটি সত্য বা মিথ্যা এই ভাবনার অবসানেই সত্যমূল্য কথাটি ব্যবহার করা হয় । সত্যমূল্য — সত্যও হতে পারে । সত্যমূল্য — মিথ্যাও হতে পারে । 

প্রশ্ন । সত্যাপেক্ষ বচন বলতে কী বােঝাে ? 

উত্তর : সরল বচনের কোনাে অংশ পৃথক বলে পরিগণিত হয় না । অন্যদিকে যৌগিক বচনের একাধিক অংশ পৃথকভাবে পূর্ণাঙ্গ বচন বলে পরিগণিত হয় । তাই যৌগিক বচনকেই এক অর্থে সত্যাপেক্ষ বচন বলা হয় ।

প্রশ্ন । সত্যাপেক্ষ যুক্তি কাকে বলে ? 

উত্তর : যে যুক্তির উপাদান বচনগুলির মধ্যে অন্তত একটি উপাদান সত্যাপেক্ষ তাকে সত্যাপেক্ষ বচন বলা হয় । যেমন — যদি মন দিয়ে পড়াশােনা করি তবে বেশি নম্বর পাবাে । 

মন দিয়ে পড়েছি , 

সুতরাং , বেশি নম্বর পাবাে । 

প্রশ্ন । শৰ্তমূলক বচন কাকে বলে ? 

উত্তর :  যখন কোনাে যৌগিক বচনের উপাদান বচনগুলির ‘যদি ... তবে’ সংযােজকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় বা শর্তসাপেক্ষ হয়ে পড়ে তখন তাকে শৰ্তমূলক বচন বলে । 

যেমন — যদি মন দিয়ে পড়াশােনা করি তবে বেশি নম্বর পাব । 

এক্ষেত্রে বেশি নম্বর পাওয়ার শর্ত হল মন দিয়ে পড়াশােনা করা । 


প্রশ্ন । বস্তুগত সংশ্লেষ কাকে বলে ? 

উত্তর : দেখা গেছে , প্রাকল্পিক বচনকে প্রতীকী তর্কবিজ্ঞানীরা সংশ্লেষমূলক বচন বলেন । এখানে উপাদান বচনগুলির একটি অপরটি সংশ্লিষ্ট বা প্রতিপাদন করে । 

দেখা গেছে যে , এরূপ ক্ষেত্রে পূর্বগ ও অনুগের মধ্যে কোনাে প্রকৃত সংযােগ নেই । 

প্রশ্ন । আপতিক বচন কাকে বলে ? 

উত্তর : যে বচন অনিবার্যভাবে সত্য নয়, অথবা অনিবার্যভাবে মিথ্যা নয় তাকে আপতিক বচন বলে । এইরূপ বচনের ক্ষেত্রে বচনের আকারকে আপতিক বচনাকার বলে । 

প্রশ্ন । স্বতঃসিদ্ধ বা স্বতঃসত্য বচনাকার কাকে বলে ? 

উত্তর : সম্ভাবনামূলক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রেই বচনাকারটির সত্যমূল্য যখন সত্য হয় তখন তাকে স্বতঃ সিদ্ধ বা স্বতঃসত্য বচনাকার বলা হয় । তা অনিবার্যভাবে সত্য , কখনই মিথ্যা হতে পারে না । ( S V ~ S ) একটি স্বতঃসত্য বচনাকার । 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন