রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Clg philosophy questions answers কলেজ দর্শন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর robindronath tagore


প্রশ্ন। The religion of man — গ্রন্থটির রচয়িতা কে ? 

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।  

প্রশ্ন । পরমাত্মার আশ্রয় কোথায় বলে রবীন্দ্রনাথ মনে করেন ? 

উত্তর : রবীন্দ্রনাথের মতে পরমাত্মা সকল মানুষের মধ্যে বিরাজমান । তবে বেদান্ত মতে পরমাত্মা জগৎ বহিঃর্ভূত সত্তা । 

প্রশ্ন । রবীন্দ্রনাথ মানুষের আরাদ্ধ দেবতা হিসাবে কাকে নির্দেশ করেছেন ? 

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ চেতনার আলােকে বিশ্ব প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে মানুষকেই মানুষের আরাদ্ধ দেবতা বলেছেন । 

প্রশ্ন । “The Religion of man” — কীভাবে প্রকাশিত হয় ? 

উত্তর : ১৯৩০ সালে ১৯ ও ২১ ও ২৬ মে অকসফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ যে বক্তৃতা দেন তার নাম হিবার্ট বক্তৃতা । এই তিনদিনের বক্তৃতাকে একত্রিত করে ১৯৩১ সালে ‘The Religion of Man’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । 

প্রশ্ন । রবীন্দ্র ভাবনায় মানুষের প্রকৃতির মধ্যে কয়টি ভাব আছে ও কী কী ? 

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ মানুষের প্রকৃতিতে দুটি ভাবের কথা বলেছেন । যথা - ( i ) জীবভাব ( ii ) মানবভাব ।

 প্রশ্ন । জীবভাবকে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ? 
 
উত্তর : পার্থিব মানুষ যারা জৈবিক সুখ , বা কামনা বাসনার উর্ধ্বে যেতে পারেন না সেই মানুষ - ই প্রকৃতির জীবভাবের উদাহরণ । 

প্রশ্ন । রবীন্দ্রনাথের মতে পরমাত্মা কী ? 

উত্তর : পরমাত্মা হল এক , চিৎ , অদ্বয় , সচ্চিদানন্দ , আনন্দময় । এই বিশ্ব তার প্রকাশমাত্র । অর্থাৎ “ সীমার মাঝে অসীম ” হয়ে তিনি বিরাজ করছেন । 

প্রশ্ন । মানুষের কী মুক্তি সম্ভব — রবীন্দ্র ভাবনা কী ? 

উত্তর : হ্যাঁ সম্ভব । স্বার্থপরতার উর্ধ্বে উঠে শুভ বুদ্ধির চেতনার বেদিমূলে উৎসর্গীকৃত প্রাণ হয়ে, বিশ্ব মানব বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে নিজেকে নিয়ােজিত করতে পারলেই — সেই মানুষ মুক্তি পেতে পারে । 

প্রশ্ন । রবীন্দ্রনাথের মতে ধর্ম কী ? 

উত্তর : রবীন্দ্রনাথের মতে মানবতাই ধর্ম । ধর্ম মানুষকে একতার বাহুডােরে জড়াতে চায় ।যা সাম্প্রদায়িক নয় তাই ধর্ম ।

প্রশ্ন । অমঙ্গলের সমস্যা বলতে রবীন্দ্রনাথ কী বােঝেন ? 

উত্তর : ঈশ্বর একটি জটিল ফাঁদ , ঈশ্বর যেহেতু মঙ্গলময় , সচ্চিদানন্দ , সর্বশক্তিমান — তাই তিনি অমঙ্গল সৃষ্টি করতে পারেন না । কিন্তু বাস্তব প্রমাণ রাখে পৃথিবীতে দুঃখ ,জরা ,ব্যাধি বা অমঙ্গল আছে । তাই এক হাতে বরাভয় অন্য হাতে কাটামুন্ড এটাই অমঙ্গলের সমস্যা । 

প্রশ্ন । রবীন্দ্রনাথের মতে মানব প্রকৃতির অতিরিক্ত সত্তা কী ? 

উত্তর : মানব ভাবু - ই হল মানব প্রকৃতির অতিরিক্ত সত্তা । 

প্রশ্ন । রবীন্দ্রনাথের মতে মানব ধর্মের লক্ষ্য কী ? 

উত্তর : মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ এবং সীমার মধ্যে অসীমের আহ্বান - ই হল মানব ধর্মের লক্ষ্য । 

প্রশ্ন । মানব ধর্মের উপাষণা পদ্ধতি কী ? 

উত্তর : মানব ধর্মের আরাদ্ধ দেবতা হল মানুষ । তাই অহিংসা , প্রেম , চেতনা , জীবসেবা প্রভৃতির অর্ঘ্য দিয়েই পূজা করলে মানব উপাষণা সম্ভব ।

প্রশ্ন । রবীন্দ্রনাথ অমঙ্গলের সমস্যার সমাধান কীভাবে করেছেন ? 

উত্তর : মানুষ নাকি কর্মফলের জন্য সুখী এবং দুঃখে কাতর হয় । কিন্তু মানুষ সৃষ্টির একেবারে ঊষা লগ্নে মানব মনে হিংসা , দ্বেষ এল কোথা থেকে । ঈশ্বরের পাপই কী মানুষের মধ্যে প্রবাহিত ? তাই রবীন্দ্রনাথ মনে করেন সচ্চিদানন্দ ঈশ্বর , আনন্দ স্বরূপ ঈশ্বরকে এবং সেই সঙ্গে ঈশ্বরকে স্বীকার করলে অমঙ্গলের কোনাে সমস্যা থাকে না ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন