প্রশ্ন । মহাত্মা গান্ধী সহিষ্ণুতার শিক্ষা কোথা থেকে পেয়েছেন ?
উত্তর : ভাগবত গীতার বাণী থেকে জীবনের সমস্যাসঙ্কুল অবস্থায় গান্ধীজি সহিষ্ণুতার শিক্ষা পেয়েছেন ।
প্রশ্ন । কোন আদর্শ গান্ধীজিকে পরিচিতি দিয়েছে ?
উত্তর : মহাত্মা গান্ধী সত্য ও অহিংসার পূজারী হিসাবে পরিচিত । এই দুই আদর্শ তার ব্যক্তিগত ও সমগ্র রাজনৈতিক মতাদর্শকে নিয়ন্ত্রণ করেছে ।
প্রশ্ন । কোথা থেকে গান্ধীজির রাজনৈতিক দর্শনের পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তর : গান্ধীজির রাজনৈতিক দর্শনের মৌলিক দিকগুলির পরিচয় পাওয়া যায় তার বিভিন্ন বক্তৃতা এবং ‘Harijan’ , ‘Young India’ প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রবন্ধের মাধ্যমে ।
প্রশ্ন । অহিংসা কাকে বলে ?
উত্তর : অ + হিংসা = অহিংসা । অর্থাৎ যা হিংসা বিপরীত বা হিংসা বিরােধী চিন্তা । অহিংসা শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হল কারও কোন ক্ষতি বা কারও প্রতি হিংসা না করা । অহিংসা মানে জীবে প্রেম , আত্মত্যাগ, সহনশীলতা প্রভৃতি সৎগুণের অনুশীলন ।
প্রশ্ন । ব্যক্তিজীবনের অহিংসার ভূমিকা কি ?
উত্তর : ব্যক্তিজীবনে অহিংসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে । কারণ অহিংসার মাধ্যমেই ব্যক্তির নৈতিক জীবন উন্নততর হতে পারে ।
প্রশ্ন । সত্যাগ্রহ কি ?
উত্তর : সত্য + আগ্রহ = সত্যাগ্রহ । সত্যাগ্রহ হল সত্যের প্রতি নিষ্ঠা বা আগ্রহ , গান্ধীজির মতে সত্যাগ্রহ মানব জীবনের আদর্শ ।
প্রশ্ন । অহিংসার সঙ্গে সত্যাগ্রহের সম্পর্ক কি ?
উত্তর : অহিংসার মন্ত্র মানুষের অন্তরে জাগ্রত না হলে , সত্যাগ্রহের আদর্শটি কখনই প্রকাশ করা যায় না । সত্যাগ্রহের মূল ভিত্তিই হল অহিংসা ।
প্রশ্ন । সর্বোদয়ের ধারণাটি গান্ধীজি কোথায় পেয়েছেন ?
উত্তর : সবােদয়ের ধারণাটি গান্ধীজি রাস্কিনের ,বিখ্যাত গ্রহ 'The last’ থেকে পেয়েছেন ।
প্রশ্ন । গান্ধীজি ‘সর্বোদয়’ ধারণাটি প্রথম কোন পুস্তকে ব্যক্ত করেন ?
উত্তর : গান্ধীজি সর্বোদয়ের ধারণাটি তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রহ ‘My Experiments with truth' এ প্রথম ব্যক্ত করেন ।
প্রশ্ন । ‘নন - ডায়ােলেন্স ইন পিস অ্যান্ড অয়্যার’ গ্রন্থের লেখক কে ?
উত্তর : গান্ধীজি ।
প্রশ্ন । সত্য এবং ঈশ্বর সম্বন্ধে গান্ধীজির মত কি ?
উত্তর : গান্ধীজি বলেছেন , মানব সত্তার মধ্যেই সত্য অনুসন্ধানের বীজ নিহিত । তিনি এই সত্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে একটা চরম সত্য আবিষ্কার করেছেন তা হল ঈশ্বর । তিনি বলেছেন সত্যই ঈশ্বর এবং ঈশ্বরই সত্য ।
প্রশ্ন । গান্ধীজির মতে মানুষের আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণ হয় কিভাবে ?
উত্তর : মানুষ জৈবিক সত্তা এবং আধ্যাত্মিক সত্তাবিশিষ্ট জীব । আবার এই দুই সত্তারই চাহিদা থাকে । মানুষ যখন সংকটাপন্ন হয় তখন সে জৈবিক সত্তার বাইরে আধ্যাত্মিক সত্তার উপর নির্ভরশীল হয়ে যাকে স্মরণ করে সাহায্য প্রার্থনা করে তিনিই ঈশ্বর । এভাবেই মানুষ নিজের আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণ করতে চায় ।
প্রশ্ন । ‘অহিংসা সভ্য মানুষের হাতিয়ার’ - কে বলেছেন এবং কেন ?
উত্তর : গান্ধীজি হিংসার বিরােধী । তাঁর মতে হিংসা হল পশুশক্তির প্রকাশ - তাই এটা সভ্য মানুষের হাতিয়ার হতে পারে না । সভ্য মানুষের হাতিয়ার অহিংসা , কেননা অহিংসার পথ আধ্যাত্মিক শক্তির অভিব্যক্তি ।