প্রশ্ন । যুক্তিবিজ্ঞান কাকে বলে ?
উত্তর : যুক্তিবিজ্ঞান : যে শাস্ত্র অবৈধ যুক্তি বৈধ যুক্তিতে পৃথক করার পদ্ধতি ও বিধিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করে তাকেই যুক্তিবিজ্ঞান বলে । এর আলােচ্য বিষয় হল যুক্তি বা অনুমান ।
প্রশ্ন । অনুমান কাকে বলে ?
উত্তর : যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা এক বা একাধিক অবধারণকে ভিত্তি করে একটি নতুন অবধারণ লাভ করা যায় । তাকে অনুমান বা যুক্তি বলে । অনুমান বা যুক্তি পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে আসতে পারি ।
অনুমান = জ্ঞাত সত্য → অজ্ঞাত সত্য ।
এখন উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বুঝে নিই ।
সকল মানুষ হয় দ্বিপদ → জ্ঞাত সত্য
রাম হয় মানুষ → জ্ঞাত সত্য
. ' . রাম হয় দ্বিপদ → অজ্ঞাত সত্য ।
প্রশ্ন । যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর : যে ভাষাগত কাঠামাের মধ্যে এক বা একাধিক ঘােষক বাক্য বা বচনকে যুক্তিবাক্য হিসেবে গ্রহণ করা এবং তার বা তাদের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত লাভ করা যায়, তাকে যুক্তি বলে ।
সকল মানুষ হয় মরণশীল → যুক্তিবাক্য
রাম হয় মানুষ → যুক্তিবাক্য
. ' . রাম হয় মরণশীল → সিদ্ধান্ত ।
প্রশ্ন । যুক্তি ও অনুমান কী এক ?
উত্তর : যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা আমরা এক বা একাধিক জ্ঞাত বা জানা যুক্তি বাক্য দ্বারা একটি অজানা বা অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হই । একেই অনুমান বলা হয় ।
অন্যদিকে ভাষায় প্রকাশিত অনুমানকে যুক্তি বলে । তাই আপাতভাবে যুক্তি ও অনুমানকে এক মনে হয় । বৃহৎ দৃষ্টি নিয়ে তাকালে উভয়ের মধ্যে অল্প কিছু পার্থক্য অবশ্যই আছে ।
প্রশ্ন । বাক্য কাকে বলে ?
উত্তর : ব্যাকরণসম্মত বাক্যের সাধারণত দুটি অংশ থাকে – উদ্দেশ্য এবং বিধেয় । যা বিবৃতি বিশেষ । যেমন - বর্তমান অধ্যাপকরা কলেজে রাজনীতি পছন্দ করে না ।
ব্যাকরণসম্মত বাক্যে পরিমাণ সবসময় স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও চলে ।
প্রশ্ন । বচন কাকে বলে ?
উত্তর : ভাষায় প্রকাশিত অবধারণকে বচন বলে । বচন হল একটি ঘােষক বাক্য যা সত্য অথবা মিথ্যা বলে গণ্য হয় ।
যেমন - সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ।
প্রশ্ন । নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচন কাকে বলে ?
উত্তর : যে সকল বচনে বিধেয় বিনা শর্তে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাদের নিরপেক্ষ বচন বলে । যেমন - সকল মানুষ মরণশীল প্রাণী । অপরপক্ষে , যে বাক্যে বিধেয়টি উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কোনাে শর্তাধীনে স্বীকৃত বা অস্বীকৃত হয় তাকে সাপেক্ষ বা অনিরপেক্ষ বচন বলা হয় । যেমন - যদি মন্ত্রের সাধন না হয় তাে শরীর পতন হবে ।
প্রশ্ন । বচনের গুণ ও পরিমাণ বলতে কী বােঝায় ?
উত্তর : বচনের পরিমাণ বলতে বচন সামান্য ও বিশেষ হয় এবং বচনের গুণ বলতে বচন সদর্থক ও নঞর্থক বােঝায় । অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবিজ্ঞানে গুণ ও পরিমাণের সংযুক্তি নীতিতে বচনকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা -
(১ ) A - বচন - সামান্য সদর্থক ,
( ২) E - বচন - সামান্য নঞর্থক ,
( ৩) | - বচন - বিশেষ সদর্থক ও
(৪ ) O - বচন - বিশেষ নঞর্থক ।