বিজ্ঞান ও প্রকল্প

Clg philosophy questions answers কলেজ দর্শন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর বিজ্ঞান ও প্রকল্প biggan o prokolpo


প্রশ্ন । প্রকল্প কাকে বলে ? 

উত্তর : প্রাক্ + কল্পনা = প্রকল্প । কোনাে কিছু ধরে নেওয়াকে প্রকল্প বলে । আমরা যা কিছুই অনুমান করি না কেন সব কিছুই ধরে নিয়ে হয় । কোনাে কার্যের কারণ অনেক সময় আমরা সরাসরিভাবে জানতে পারি না । এক্ষেত্রে উক্ত ঘটনার কারণ কি হবে এ ধরনের একটি প্রাথমিক ধারণাকেই প্রকল্প বলে । এর জন্য প্রয়ােজন হয় অন্তদৃষ্টি । 

প্রশ্ন । কোহেন এবং নাগের মতে প্রকল্প কী ?

উত্তর : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কার্য আদৌ সম্ভব হয় না যদি না আমরা আলােচ্য সমস্যার অনুমিত ব্যাখ্যা বা সমাধানের সাহায্যে কাজ শুরু করি । পূর্বলব্ধ জ্ঞান বা বিষয়বস্তুতে অবস্থিত কোনাে কিছুর জন্য এই ধরনের ব্যাখ্যা আমাদের কাছে অভিভাবিত হয় আর যখন তারা বচনরূপে প্রকাশিত হয় তখনই তাকে প্রকল্প বলা হয় । 

প্রশ্ন । মিলের মতে প্রকল্প কী ? 

উত্তর : প্রকল্প হল যখন আমরা কোনাে কিছুকে বিনা বিচারে গ্রহণ করি এবং তার থেকে নিঃসৃত সিদ্ধান্তগুলি যদি বাস্তবে যথার্থ বলে স্বীকার করা হয় তাহলে ধারণাকে প্রকল্প বলা যাবে । 

প্রশ্ন । প্রকল্প কয় প্রকার ও কি কি ? 

উত্তর : প্রকল্প দু ’ধরণের হত পারে । - ( ১ ) ব্যাখ্যান প্রকল্প এবং ( ২ ) বর্ণনা প্রকল্প । যেখানে ব্যাখ্যা বাস্তবে সমর্থন লাভ করতে পারবে তা হল ব্যাখ্যান প্রকল্প । বর্ণনা প্রকল্প হল ইথার - প্রকল্প- ঘর্ষণ - ধর্ম বর্জিত ইথারের প্রকল্প । 

প্রশ্ন । বিজ্ঞান বলতে কি বােঝ ? 

উত্তর : ‘বিদ’ , ‘জ্ঞান’ অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে । প্রকৃতির একটি বিশেষ দিক নিয়ে বিজ্ঞান  আলােচনা করে । এবং ঐ বিষয়টি সম্বন্ধে যথাযথ সুনিশ্চিত সুশৃঙ্খল জ্ঞানকেই বিজ্ঞান বলে । 


প্রশ্ন । বিজ্ঞানের লক্ষ্য কি ? 

উত্তর : কোনাে ব্যবহারিক প্রয়ােজনই শুধুমাত্র বিজ্ঞানের লক্ষ্য নয় , বিজ্ঞানের প্রকৃত লক্ষ্য হল প্রকৃতি সম্পর্কে সুশৃঙ্খল ও যথাযথ জ্ঞান আহরণ করা । বিশ্বপ্রকৃতির রহস্যর উন্মােচন করে , তার সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান লাভ করাই হল বিজ্ঞানের প্রকৃত লক্ষ্য । 

প্রশ্ন । ব্যাখ্যা কাকে বলে ? 

উত্তর : কোপি তাঁর Introduction to Logic নামক গ্রন্থে ব্যাখ্যাকে ( Explanation ) নিম্নোক্তভাবে উপস্থাপিত করেছেন : ব্যাখ্যা হল এমন কতকগুলি বিবৃত সমন্বয় বা বর্ণনা যার দ্বারা ব্যাখাত বিষয়টিকে ন্যায়সম্মতভাবে অনুমান করা যায় এবং যে ব্যাখ্যাত বিষয়টিকের গ্রহণ করা হয় তা অন্তঃস্থিত বিভ্রান্তিকর ও সমস্যাপূর্ণ চরিত্রটিকে অপসারিত করা যায় । 

প্রশ্ন । ব্যাখ্যার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখাে । 

উত্তর : প্রথমত , বাখ্যা এবং অনুমানের মধ্যে একপ্রকার যৌক্তিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান । 

দ্বিতীয়ত , ব্যাখ্যার চরম ও মূল বৈশিষ্ট্য হল তার প্রাসঙ্গিকতা । 

তৃতীয়ত , ব্যাখ্যার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হল সত্যতা । 

চতুর্থত , ব্যাখ্যার উদ্দেশ্য হল কোনাে জটিল বিষয়কে সহজ ও সরলভাবে উপস্থাপিত করা । 

পঞ্চমত , ব্যাখ্যার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় বৈজ্ঞানিক সাধারণ নিয়মকেও বিশ্লেষণ করি এবং সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই তা বােধগম্য হয়ে ওঠে । 

প্রশ্ন । বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মধ্যে পার্থক্য কী ? 

উত্তর : যুক্তিবিজ্ঞানী কোপি তার introduction to Logic নামক গ্রন্থে বৈজ্ঞানিক এবং অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মধ্যে মূলতঃ তিন প্রকারের পার্থক্যকে উল্লেখ করেছেন । এই তিন ধরণের পার্থক্য হল : 

( ১ ) দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য । 

( ২ ) ভিত্তিগত পার্থক্য এবং 

( ৩ ) উর্বরতাগত পার্থক্য ।


প্রশ্ন । প্রাসঙ্গিকতা বা সম্পৃক্ততা নিয়ে আলােচনা কর । 

উত্তর : প্রকল্পের প্রাসঙ্গিকতা বলতে বােঝায় এমনই প্রকল্প রচনা করা যার দ্বারা অবরােহাত্মক পদ্ধতির মাধ্যমে আলােচ্য ঘটনাটিকে নিষ্কাষণ করা যেতে পারে । 

প্রশ্ন । যাচাইযােগ্যতা বা প্রমাণযােগ্যতা নিয়ে আলােচনা কর । 

উত্তর : যে প্রকল্পটি যাচাই যােগ্যতা বলে বিবেচিত হবে একমাত্র সেই প্রকল্পটিকেই যথার্থ বা উত্তম প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করা হয় কারণ , এরূপ প্রকল্পই কার্য কারণ সম্পর্কের যথার্থ দিশারী রূপে স্বীকৃত । 

প্রশ্ন । পূর্ব প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণতা নিয়ে আলােচনা কর । 

উত্তর : প্রকল্পের উর্বরতার অর্থ হল যে বিষয়টির জন্য প্রকল্পটি রচিত হয়েছে , সেই বিষয়টি ছাড়াও অন্যান্য বিষয়কে উক্ত প্রকল্পটি যেন ব্যাখ্যা করতে সমর্থ হয় । এর জন্যই প্রকল্পটিকে পূর্ব প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে । 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন