১। বেদান্ত দর্শনের প্রবর্তক কে ?
উত্তর : বেদান্ত দর্শনের প্রবর্তক হলেন মহর্ষি বাদয়ায়ন বা কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ , যিনি ব্যাসদেব নামে পরিচিত ।
২। শঙ্করের মতে ‘ব্ৰহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা’ কেন ?
উত্তর : শঙ্করাচাৰ্য কেবলদ্বৈতবাদের আলােচনায় বিবর্তবাদকে মেনেছেন । বিবর্ত অর্থাৎ মিথ্যা কার্য । বিবর্তবাদ অনুসারে বিবর্ত বিষয়টি মিথ্যা এবং যার বিবর্ত সেটি সত্য হয় । যেমন , রজ্জ্বসর্প স্থলে রজ্জ্বটি সত্য এবং সর্পটি মিথ্যা হয় । শঙ্করের মতে , জগৎ ব্রহ্মের বিবর্ত বলে ব্রহ্মই সত্য , জগৎ মিথ্যা ।
৩। সত্তা কি ? শঙ্করের মতে সত্তা কয় প্রকার ও কি কি ?
উত্তর : ‘সত্তা’ কথাটি এসেছে ‘সৎ’ থেকে । সৎ অর্থাৎ যার অস্তিত্ব আছে । শঙ্করের মতে , সত্তা তিন প্রকার । যথা - ( ১ ) প্রতিভাসিক সত্তা ( ২ ) ব্যবহারিক সত্তা এবং ( ৩ ) পারমার্থিক সত্তা ।
৪। মায়া কি ?
উত্তর : শঙ্করের মতে , মায়া হল ঈশ্বরের শক্তি , যার মাধ্যমে ঈশ্বর ব্যবহারিক জীব ও জগৎ সৃষ্টি করেন ।
৫। মায়া বা অবিদ্যার স্বরূপ কি ? ।
উত্তর : অদ্বৈত বেদান্তে মায়া , অবিদ্যা , অজ্ঞান , অধ্যাস প্রভৃতিকে সমার্থক বলা হয়েছে । শঙ্করের মতে , মায়া বা অবিদ্যা হল ভাবরূপ । কারণ , মায়া দ্বারাই জগৎ প্রপঞ্চ সৃষ্টি ।
৬। পঞ্চীকরণ কি ?
উত্তর : অদ্বৈত মতে , পঞ্চতন্মাত্র থেকে পঞ্চভূতের সৃষ্টির ক্ষেত্রে যে বিশেষ পরিমাণে মিশ্রণ তাকেই পঞ্চীকরণ বলে ।
৭। সাধন চতুষ্টয় কি ?
উত্তর : সাধন চতুষ্টয় বলতে চার প্রকার সাধনকে বােঝায় । এই চারটি সাধন হল – ( ১ ) নিত্যানিত্য বস্তুবিবেক, ( ২ ) ইহমূত্র ফলভােগ বিরাগ , ( ৩ ) শমদমাদি ষট্সাধন সম্পদ এবং ( ৪ ) মুমুক্ষুত্ব ।
৮। জীবের স্বরূপ কি
উত্তর : শঙ্করের অদ্বৈত বেদান্তে বলা হয়েছে , জীবঃ ব্রহ্মৈব না পরঃ জীব স্বরূপতঃ ব্রহ্মই কারণ , ব্রহ্মভিন্ন জীবের কোন সত্তা নেই ।
৯। অজ্ঞান কয় প্রকার ও কি কি ?
উত্তর : অজ্ঞান দু’প্রকার ( ১ ) ব্যষ্টি অজ্ঞান ও ( ২ ) সমষ্টি অজ্ঞান । ব্যষ্টিঅজ্ঞান দ্বারা উপহিত চৈতন্যই সাক্ষী । অর্থাৎ চৈতন্য যখন সত্ত্ব প্রধান ব্যক্তির অজ্ঞানে পর্যবসিত হয় তখন চৈতন্যই জীবাশ্ম বা সাক্ষী ।