আরােহ অনুমানের ভিত্তি বলতে কী বােঝায় ? আরােহ অনুমানের ভিত্তি কয় প্রকার ও কী কী ?

Clg philosophy questions answers কলেজ দর্শন প্রশ্নোত্তর আরােহ অনুমানের ভিত্তি বলতে কী বােঝায় আরােহ অনুমানের ভিত্তিকয় প্রকার ও কী কী aroho anumaner bhirti bolte ki bojhay aroho anumaner bhirti koi prokar o ki ki


উত্তর : আরােহ অনুমানের ভিত্তি : আরােহ অনুমানের সমস্যা হল কীভাবে সামান্য সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা যায় । এক জাতীয় কতকগুলি বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের সাহায্যে সামান্য বা সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করাই আরােহ যুক্তির কাজ । অর্থাৎ যার উপর ভিত্তি করে বা যে পদ্ধতির সাহায্যে এই সামান্য বচনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে আরােহ অনুমানের ভিত্তি বলা হয় । 

শ্রেণিবিভাগ : - আরােহ অনুমানের ভিত্তি দুই প্রকার । যথা : ( ১ ) আকারগত ভিত্তি ও ( ২ ) বস্তুগত ভিত্তি । 

( ১ ) আকারগত ভিত্তি :- শুধু পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের ওপর নির্ভর করে সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা যায় না । তার জন্য কতকগুলি নিয়মের প্রয়ােজন হয় । যেগুলির ভিত্তিতে সামন্যীকরণ সম্ভব হয় । কীভাবে সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা যায়? কীভাবে বিশেষ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সামান্য সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা যায় - এই সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি নিয়মকে মেনে নিতে হয় - 
( ক ) প্রকৃতির একরূপতা নীতি , ( খ ) কার্য-কারণ নীতি । এই দুটি নিয়মের ওপর বিশ্বাস রেখেই বা এদের ওপর ভিত্তি করেই সামান্যীকরণ সম্ভব হয় । সেইজন্য দুটি নিয়মকে আরােহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি বলা হয় । 


( ক ) প্রকৃতির একরূপতা নীতি :- আরােহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি হল প্রকৃতির একরূপতা নীতি । এর উপর বিশ্বাস না রাখলে আরােহ অনুমানের সামান্যীকরণ সম্ভব হবে না । এই পৃথিবী প্রকৃতির নিয়মের সঙ্গে বাঁধা । এই নিয়ম হল প্রকৃতি সম - অবস্থায় একই রকম আচরণ করে । প্রকৃতির একরূপতা নীতির মূল কথাই হল ও প্রকৃতির নিয়মের রাজত্ব । 

( খ ) কার্য-কারণ নীতি :- আরােহ অনুমানের ক্ষেত্রে কার্য- কারণ নীতির প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম । কার্য কারণ নীতির মূল কথা হল প্রত্যেকটি কার্যের একটি উপযুক্ত কারণ আছে , কারণ ছাড়া কার্য ঘটে না । মিল বলেছেন - “যে ঘটনার আরম্ভ আছে তার একটা কারণ থাকবেই”। বেইন বলেছেন , ‘প্রতিটি ঘটনাই তার পূর্ববর্তী কোনাে ঘটনার সঙ্গে এমনভাবে সম্বন্ধযুক্ত যে ওই পূর্ববর্তী ঘটনাটি ঘটলে তবে এ ঘটনাটি ঘটে আর সেটি না ঘটলে এটি ঘটে না । 


( ২ ) বস্তুগত ভিত্তি :- বস্তুগত ভিত্তির উৎস দুটি । যথা - পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ । পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের সাহায্যেই আরােহ অনুমানের আশ্রয়বাক্যের তথা সিদ্ধান্তের বস্তুগত সত্যতার প্রতিষ্ঠা হয় । আরােহ অনুমানের সামান্য বচনটি কি করে সত্য , হবে বস্তুনিষ্ঠ হবে - এই সমস্যা সমাধানের ভিত্তিকেই আরােহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তি বলা হয় ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন