প্রশ্ন । মাধ্যম অনুমান কাকে বলে ?
উত্তর : যে অবরােহ অনুমানে একের বেশি ( অধিক ) হেতুবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে ( সেরূপ অনুমানকে ) বলে মাধ্যম অনুমান ।
প্রশ্ন । মাধ্যম অনুমানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখাে ।
উত্তর : ( i ) মাধ্যম অনুমানে একের বেশি হেতুবাক্য থেকে অর্থাৎ, একের বেশি বচন থেকে সিদ্ধান্ত যুক্তিসম্মতভাবে নিঃসৃত হয় । ( ii ) অমাধ্যম অনুমানের মতাে মাধ্যম অনুমানও একপ্রকার অবরােহ অনুমান ।
প্রশ্ন । অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে ?
উত্তর : যে অবরােহ অনুমানে একটিমাত্র হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় , সেরূপ অনুমানকে বলে অমাধ্যম অনুমান ।
উদাহরণ —
কোনাে গুজরাটি নন বাঙালি ( E ) ( হেতুবাক্য )
.:. কোনাে বাঙালি নন গুজরাটি ( E ) ( সিদ্ধান্ত )
প্রশ্ন । অমাধ্যম অনুমানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখাে ।
উত্তর : ( i ) অমাধ্যম অনুমানে একটিমাত্র হেতুবাক্য থাকে এবং ওই একটি হেতুবাক্যের দ্বারাই সিদ্ধান্ত সমর্থিত হয় । ( ii ) অমাধ্যম অনুমান একপ্রকার অবরােহ অনুমান ।
প্রশ্ন । আবর্তন কাকে বলে ?
উত্তর : আবর্তন হল অমাধ্যম অনুমানের একটি প্রক্রিয়া । এখানে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় সিদ্ধান্ত ন্যায় সঙ্গতভাবে স্থান পরিবর্তন করে এবং গুণ বা সংযোকের পরিবর্তন না ঘটিয়ে সরাসরি সিদ্ধান্তে আসা যায় । যেমন –
A - সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ( আবর্তনীয় )
.:. I - কোনো কোনো দ্বিপদ জীব হয় মানুষ ( আবর্তিত ) ।
প্রশ্ন । বিপরীত পদ কাকে বলে ?
উত্তর : যদি দুটি পদ এমন দুটি গুণের নির্দেশ দেয় যে তারা কোনাে ব্যক্তি বা বস্তু বা কোনাে প্রসঙ্গে একই সঙ্গে সত্য হতে পারে না কিন্তু একই সঙ্গে মিথ্যা হতে পারে তবে তাকে বিপরীত পদ বলা হয় । যেমন — চালাক → বােকা , পণ্ডিত → মূখ ।
প্রশ্ন । বিরুদ্ধ পদ কাকে বলে ?
উত্তর : যখন দুটি পদ এমন দুটি কোনাে গুণের নির্দেশ দেয় যে তারা কোনাে ব্যক্তি বা বস্তু বা অন্য কোনাে প্রসঙ্গে একই সঙ্গে সত্য হতে পারে না , অপরদিকে একই সঙ্গে মিথ্যা হতে পারে না তখন একটিকে অন্যটির বিরুদ্ধ পদ বলা হয় । সাধারণত পদের আগে ‘অ’ বা ইংরাজিতে ‘Non’ বসিয়ে বিরুদ্ধ পদ তৈরি করা হয় ।
যেমন — দ্বিপদ —> অ - দ্বিপদ ।
মানুষ —> অ -মানুষ ।
প্রশ্ন । পরিপূরক শ্রেণি বলতে কী বােঝ ?
উত্তর : পরিপূরক শ্রেণি বলতে বােঝায় এমন শ্রেণি যা মূল শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নয় অর্থাৎ , পরিপূরক শ্রেণি এমন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় যা মূল শ্রেণির অন্তর্গত নয় । যেমন — মানুষ শ্রেণির পরিপূরক শ্রেণি হল অ - মানুষ । ছাত্র শ্রেণির পরিপূরক শ্রেণি হল অ-ছাত্র ।
প্রশ্ন । শ্রেণি ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক লেখাে ।
উত্তর : একটি শ্রেণি অন্য শ্রেণির সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত হতে পারে । একটি শ্রেণি অপর শ্রেণির সঙ্গে আংশিকভাবে যুক্ত হতে পারে । আবার পূর্ণভাবেও যুক্ত হতে পারে । যখন শ্রেণিটি পূর্ণভাবে যুক্ত হয় তখন একটি শ্রেণি অপর শ্রেণির সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে । যখন আংশিক যুক্ত হয় তখন একটি শ্রেণি অপর শ্রেণির আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলা যেতে পারে । আবার এমন বলা যায় , একটি শ্রেণি অপর শ্রেণির বিপরীত ।
প্রশ্ন । বৈধ আবর্তনের দুটি নিয়ম লেখাে ।
উত্তর : ( i ) যুক্তিবাক্যের ( আবর্তনীয় ) উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তে বিধেয় হয় ।
( ii ) যুক্তিবাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য হয় ।
প্রশ্ন । বৈধ বিবর্তনের দুটি নিয়ম লেখাে ।
উত্তর : ( i ) যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্যই থাকে ।
( ii ) যুক্তিবাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তে বিধেয় হয় ।
প্রশ্ন । A - বচনের সরল আবর্তন হয় এরকম একটি উদাহরণ দাও ।
উত্তর : A - সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন প্রাণী ।
. : . A - সকল বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন প্রাণী হয় মানুষ ( আবর্তিত )।