উত্তর : আবর্তন হল অমাধ্যম অনুমানের একটি প্রক্রিয়া । এখানে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় সিদ্ধান্ত ন্যায়সঙ্গতভাবে স্থান পরিবর্তন করে এবং গুণ বা সংযােজকের পরিবর্তন না ঘটিয়ে সরাসরি সিদ্ধান্তে আসা যায় ।
যেমন — A — সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ( আবর্তনীয় )।
. : . I — কোনাে কোনাে দ্বিপদ জীব হয় মানুষ ( আবর্তিত )।
এখন কোন্ বচনের আবর্তনে কোন্ বচন হয় দেখে নাও :
A - l
E - E
l - l
O – X ( অর্থাৎ , 'O' বচনে আবর্তন হয় না । )
অর্থাৎ - A - বচনের আবর্তন হবে l
E - বচনের আবর্তন হবে E
I - বচনের আবর্তন হবে l
O - বচনের আবর্তন হবে না l
‘O’ বচনের আবর্তন সম্ভব কেন হয় না পরে আলােচনায় আসছি । এখন আবর্তনের নিয়ম নিয়ে আলােচনা করবাে । সাধারণভাবে আবর্তনের চারটি নিয়ম আছে —
( i ) যুক্তিবাক্যের ( আবর্তনীয় ) উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তে বিধেয় হয় ।
( ii ) যুক্তিবাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য হয় ।
( iii ) গুণ বা সংযােজক অপরিবর্তিত থাকে ।
( iv ) যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না ।
[ ] আবর্তনের চারটি নিয়মের ব্যাখ্যা :
( i ) যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তে বিধেয় হয় ।
A - সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ।
:• I — কোনাে কোনাে দ্বিপদ জীব হয় মানুষ ।
ওপরের উদাহরণে যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ‘মানুষ’ সিদ্ধান্তে বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ।
( ii ) যুক্তিবাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য হবে ।
A — সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ।
:• I — কোনাে কোনাে দ্বিপদ জীব হয় মানুষ ।
ওপরের উদাহরণে যুক্তিবাক্যের বিধেয় ‘দ্বিপদ’ সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে ।
( iii ) গুণ বা সংযােজক অপরিবর্তিত থাকে :
A — সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ।
:• l — কোনাে কোনাে দ্বিপদ জীব হয় মানুষ l
ওপরের উদাহরণে যুক্তিবাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয় সার্থক বচন । অর্থাৎ , গুণ বা সংযােজক অপরিবর্তিত আছে ।
( iv ) যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না :
A — সকল মানুষ হয় দ্বিপদ ।
. : . I — কোনাে কোনাে দ্বিপদ জীব হয় মানুষ ।
ওপরের উদাহরণে যুক্তিবাক্য ‘A’ বচন হওয়ায় উদ্দেশ্য পদ মানুষ ব্যাপ্য হয়েছে । কিন্তু সিদ্ধান্ত I বচন হওয়ায় এবং যেহেতু I বচনের কোনাে পদই ব্যাপ্য হয় না , এখানেও তাই কোনাে পদ ব্যাপ্য হয়নি । অর্থাৎ , চতুর্থ নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেনি ।