উত্তর : একটি বচনের সত্যতা অথবা মিথ্যাত্ব থেকে তার অনুরূপ বিরােধী বচনটির সত্যতা অথবা মিথ্যাত্ব সম্বন্ধে ধারণা লাভ করাকে বচনের বিরােধানুমান বলে ।
নিয়ম : পরস্পর বিরুদ্ধ দুটি বচনের মধ্যে যদি একটি সত্য ( T ) হয় তবে অপর বচনটি হবে মিথ্যা ( F ) এবং একটি বচন যদি মিথ্যা ( F ) হয় তবে অপর বচনটি হবে সত্য ( T ) ।
বিরুদ্ধ বিরােধানুমানের এরূপ নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যায় যে :
( ১ ) A বচনটি যদি সত্য হয় তবে O বচনটি হবে মিথ্যা ।
( ২ ) A বচনটি যদি মিথ্যা হয় তবে O বচনটি হবে সত্য ।
( ৩ ) E বচনটি যদি সত্য হয় তবে I বচনটি হবে মিথ্যা ।
( ৪ ) E বচনটি যদি মিথ্যা হয় তবে I বচনটি হবে সত্য ।
( ৫ ) l বচনটি যদি সত্য হয় তবে E বচনটি হবে মিথ্যা ।
( ৬ ) I বচনটি যদি মিথ্যা হয় তবে E বচনটি হবে সত্য ।
( ৭ ) 0 বচনটি যদি সত্য হয় তবে A বচনটি হবে মিথ্যা ।
( ৮ ) 0 বচনটি যদি মিথ্যা হয় তবে A বচনটি হবে সত্য ।
অর্থাৎ , ১ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( A ) সকল মানুষ হয় মরণশীল = সত্য ( T )
:• ( O ) কোনাে কোনাে মানুষ নয় মরণশীল = মিথ্যা ( F )
২ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( A ) সকল মানুষ হয় নম্র = মিথ্যা (F )
:• ( O ) কোনাে কোনাে মানুষ নয় নম্র = সত্য ( T )
৩ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( E ) কোনাে মানুষ নয় অমর = সত্য ( T )
. : .( I ) কোনাে কোনাে মানুষ হয় অমর = মিথ্যা ( F )
৪ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( E ) কোনাে মানুষ নয় অমর = মিথ্যা ( F )
. ' . ( I ) কোনাে কোনাে মানুষ হয় অমর = সত্য ( T )
৫ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( I ) কোনাে কোনাে মানুষ হয় চোর = সত্য ( T )
:• ( E ) কোনাে কোনাে মানুষ নয় চোর = মিথ্যা (F )
৬ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( I ) কেনাে কোনাে মানুষ হয় সাধু = মিথ্যা ( F )
:• ( E ) কোনাে মানুষ নয় সাধু = সত্য ( T )
৭ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( O ) কোনাে কোনাে মানুষ নয় স্নেহান্ধ = সত্য ( T )
. : . ( A ) সকল মানুষ হয় স্নেহান্ধ = মিথ্যা ( F )
৮ নং নিয়ম অনুযায়ী :
( O ) কোনাে কোনাে মানুষ নয় অত্যাচারী = মিথ্যা ( F )
:• ( A ) সকল মানুষ হয় অত্যাচারী = সত্য ( T )
বিরােধ চতুষ্কোণের ওপর ভিত্তি করে যে -কোনাে একটি তর্কবিজ্ঞানসম্মত নিরপেক্ষ বচনের প্রদত্ত সত্যমূল্য ( সত্য অথবা মিথ্যা) থেকে অপর যে- কোনাে তার্কিক বচনের সত্যমূল্য নির্ধারণ করার জন্য নীচের ছক একটি অত্যন্ত কার্যকরী পন্থা ।
যুক্তিবাক্য | A | E | I | O |
---|---|---|---|---|
( ১ ) A — সত্য | মিথ্যা | সত্য | মিথ্যা | |
( ২ ) A — মিথ্যা | সংশয়াত্মক | সংশয়াত্মক | সত্য | |
( ৩ ) E — সত্য | মিথ্যা | মিথ্যা | সত্য | |
( ৪ ) E — মিথ্যা | সংশয়াত্মক | সত্য | সংশয়াত্মক | |
( ৫ ) I — সত্য | সংশয়াত্মক | মিথ্যা | সংশয়াত্মক | |
( ৬ ) I — মিথ্যা | মিথ্যা | সত্য | সত্য | |
( ৭ ) O — সত্য | মিথ্যা | সংশয়াত্মক | সংশয়াত্মক | |
( ৮ ) O — মিথ্যা | সত্য | মিথ্যা | সত্য |
যুক্তিবিজ্ঞানীরা ব্যাপারটা সহজ করে দিয়েছেন— একটি ১৬ টি ঘরবিশিষ্ট আয়তক্ষেত্র আঁকো — এবার বামদিক থেকে নীচের দিকে কোণাকুণি T লেখাে । তারপর ডানদিক থেকে নীচের দিকে কোণাকুণি F লেখাে । ওপরে ফাঁক ঘর দুটিতে f, t লেখাে । নীচের ফাঁকা ঘর দুটিতে f, t লেখাে । পরের সারিতে ফাঁকা ঘরে লেখাে d¹ নীচের দুটি ফাঁকা ঘরে d লেখাে ।
T / t = সত্য , F / f মিথ্যা , d = সংশয়াত্মক
A –
T
f
d
F
E –
f
T
F
d
I –
t
F
T
d
O –
F
t
d
T
এবার যদি A বচন সত্যি হয় তবে A - এর ঘরে T ধরে এগিয়ে চলাে — অর্থাৎ E = f , I = f. O = F
একইভাবে একটি বচনের সত্যতা অথবা মিথ্যাত্ব থেকে অনুরূপ বিরােধী বচনটির সত্যতা বা মিথ্যাত্ব সম্বন্ধে ধারণা করা যাবে ।