কান্ট এর সবিচারবাদ

Clg philosophy questions answers কলেজ দর্শন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর কান্ট এর সবিচারবাদ kant ar sobicharbad


প্রশ্ন । কান্টের সবিচার পদ্ধতি বা Critical theory- এর মূল বক্তব্য কী ? 

উত্তর : কান্ট বুদ্ধি-বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তেউপনীত হন যে , যথার্থজ্ঞান লাভের পদ্ধতি যেমন বুদ্ধিমান নয়, তেমনি অভিজ্ঞতামাত্রও নয় , - তা হল , অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধির যুগ্ম পদ্ধতি । কান্টের এই যুগ্ম পদ্ধতি দর্শনের ইতিহাসে ‘সবিচার পদ্ধতি’ এবং কান্টের দর্শন ‘সবিচার দর্শন’ নামে পরিচিত । 

প্রশ্ন । “The critique of pure Reason ” গ্রন্থটির মূল আলােচ্য বিষয় কী ? 

উত্তর : The critique of Pure Reason ( ১৭৮৪ ) গ্রন্থটির মূল প্রতিপাদ্য হল , কীভাবে গাণিতিক জ্ঞান, পদার্থবিদ্যার জ্ঞান, এবং অধিবিদ্যক জ্ঞান সম্ভব হতে পারে । 

প্রশ্ন । The Critique of Practical Reason গ্রন্থটির মূল আলােচ্য বিষয় কী ? 

উত্তর : The Critique of Practical Reason ( ১৭৮৮ ) গ্রন্থটির প্রতিপাদ্য হল , বুদ্ধি-বিচার-বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করে উচিতার্থক নৈতিকজ্ঞান এবং বিশ্বাস নির্ভর ধর্মীয়জ্ঞান কীভাবে সম্ভব হতে পারে ।


প্রশ্ন । কোনাে বচন বিশ্লেষক না সংশ্লেষক হবে কী করে বােঝা যাবে ? 

উত্তর : কোনাে বচন বিশ্লেষক অথবা সংশ্লেষক তা বচনটির গঠন কাঠামাে ( Structure ) দেখেই বােঝা যায়, বিধেয়টি উদ্দেশ্যের নিহিতার্থের বিশ্লেষণমাত্র হলে তা বিশ্লেষক হবে । আর বিধেয়ের প্রত্যয়টি নতুন এক সংযােজন হলে তা সংশ্লেষক হবে । 

প্রশ্ন । পূর্বতঃসিদ্ধ বচন কাকে বলে ? 

উত্তর : যে সব বচনের সত্যতা অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর না করেই জানা যায় । অর্থাৎ যেসব বচনের সত্যতা নির্ণয়ের জন্য অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করতে হয় না , সেসব বচন পূর্বতঃসিদ্ধ । 

প্রশ্ন । পরতঃসাধ্য বচন কাকে বলে ? 

উত্তর : যে সব বচনের সত্যতা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানা যায় বা প্রতিষ্ঠা করা যায় বা প্রতিষ্ঠা করা যায়  সেসব বচন হল পরতঃসাধ্য । সহজ কথায় , যেসব বচন পূর্বর্তসিদ্ধ নয়, সেসব পরতসাধ্য । 

প্রশ্ন । কান্টের মতে বচন কয় প্রকার ? 

উত্তর : চার প্রকার যথা ( i ) পূর্বতঃসিদ্ধ বিশ্লেষক । ( ii ) পরতঃসাধ্য সংশ্লেষক । ( iii ) পরতঃসাধ্য বিশ্লেষক । ( iv ) পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক । 


প্রশ্ন । কান্টের মতে গণিতিক বচন মাত্রই কী বচন হয় ? 

উত্তর : কান্টের মতে গণিতিক বচন মাত্রই পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক হয় । 

প্রশ্ন । কান্টের মতে পূর্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান কী ? 

উত্তর : ‘পূর্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান’ বলতে বােঝায় এমন জ্ঞান যা অভিজ্ঞতা থেকে নিঃসৃত না হলেও , অভিজ্ঞাতিক পরিবেশ ব্যাতিরেকে প্রকটিত হয় না । অর্থাৎ পূর্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ বুদ্ধির অবদানের সঙ্গে অভিজ্ঞতার অবদানকেও স্বীকার করতে হয়, যদিও কেবলই অভিজ্ঞতা জ্ঞান সৃজন করতে পারে না ।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন