উত্তর : সৎ শব্দ থেকে সত্য কথাটির উদ্ভব । প্রত্যেক মানুষ সত্যনুসন্ধানী । রায়চন্দ ভাই , টলস্টয়, জন । রাস্কিন এর দ্বারা প্রভাবিত এবং বৈষ্ণব ধর্মে বিশ্বাসী গান্ধীজি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সত্যের অনুসন্ধান করতে করতে চরম সত্য আবিষ্কার করেছেন তা হল ঈশ্বর । এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন সত্যই ঈশ্বর এবং ঈশ্বরই সত্য । সত্য এবং ঈশ্বর সমার্থক ।
গান্ধীজি বলেন জগৎ এবং মানুষ উভয়েরই অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ প্রমাণের সাহায্যে জানা যায় । মানুষ শুধুমাত্র জৈবিক সত্ত্বার অধিকারী নয় ,তার মধ্যে আছে আত্মা , মন , বুদ্ধি, বিবেক এবং ইচ্ছা । এছাড়াও রয়েছে আধ্যাত্মিক দিক আর এই আধ্যাত্মিক দিকটিই হল সত্য অনুসন্ধানী । সত্যের পথ অনুসরণ করে মানুষ যে চরম নিরপেক্ষ সত্য আবিষ্কার করে তাই হল ঈশ্বর । গান্ধীজির মতে বিবেকের নির্দেশই হল সত্য , সুতরাং সত্যের উৎস হল বিবেক । তাই বিবেকের নির্দেশ হল ঈশ্বরের নির্দেশ । সুতরাং গান্ধীজির মতানুযায়ী সত্য এবং ঈশ্বর অভিন্ন বা সমর্থক ।