উত্তর : ভূমিকা : ‘ইসলাম’ ধর্মের প্রবর্তক হলেন হজরত মহম্মদ । খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে মক্কার কাছে হজরত মহম্মদের জন্ম হয় । সেই সময় সমাজ অত্যাচারে ও কুসংস্কারে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল । এই অত্যাচারের হাত থেকে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে গিয়ে মহম্মদ যে ধর্ম প্রবর্তন করেন তাই ইসলাম ধর্ম ।
‘ ইসলাম ’ শব্দের অর্থ হল আল্লাহর কাছে মানুষের পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ । আবার ‘ ইসলাম ’ শব্দটি ‘আসলাম’ শব্দের সঙ্গে যুক্ত। ‘আসলাম’ শব্দের অর্থ শান্তি । সুতরাং ইসলাম ধর্মের সঙ্গে শান্তির ধারণাটি জড়িয়ে আছে । ইসলামের লক্ষ্য হল শান্তির আলয় গড়ে তােলা । ইসলাম ধর্মগ্রন্থ ‘কোরান’ - এ আল্লাহকে শান্তির রচয়িতারূপে উল্লেখ করা হয়েছে । আল্লাহ পবিত্রতা ও কল্যাণের উৎস । আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করলে এই শান্তিলাভ করা যায় ।
সমর্থন করি : “ইসলাম মানবজাতির মহান ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী”– হ্যা, আমি এই মত সমর্থন করি । ইসলাম বিশ্বভ্রাতৃত্ব এবং মানবতার আদর্শ প্রচার করে । এই ধর্মপ্রচার করে জাতি , ধর্ম , বর্ণ এবং রাষ্ট্র পৃথক হলেও মানুষ মূলত একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ।প্রতিটি মানুষের অন্তরে এক গভীর আত্মীয়তার যােগসূত্র আছে এবং প্রতিটি মানুষ পরস্পর ভাই ভাই । ইসলাম ধর্ম মনে করে ধনী -দরিদ্র, স্ত্রী-পুরুষ প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার সমান । ইসলাম ধর্মের মূল ও পবিত্র গ্রন্থ কোরান শরিফে বলা হয়েছে ,স্বামীর যেমন স্ত্রীর উপর অধিকার আছে, স্ত্রীরও তেমনি স্বামীর উপর অধিকার আছে । ইসলাম বর্ণবৈষম্য এবং কৌলিন্য প্রথার বিরােধী ।মানুষ তার কৃতকর্মের দ্বারাই বড় হতে পারে , বংশ মর্যাদার দ্বারা নয়, প্রত্যেক মানুষই সমান , প্রত্যেকেরই ধর্মে কর্মে সমান অধিকার আছে — ইসলাম এই নীতি স্বীকার করে । ইসলামের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র এই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত । ইসলাম মানুষে মানুষে ভেদাভেদে বিশ্বাসী নয় । মানবজাতির প্রগতির পথে সবরকম অন্যায় বিধানের বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্রোহ ঘােষণা করে । ইসলাম মনে করে আল্লাহ এক এবং সর্বশক্তিমান’ সব মানুষই আল্লাহর সন্তান এবং সব মানুষই আল্লাহর চোখে সমান ।
মূল্যায়ন : ইসলাম ধর্ম গুরুজন এবং পিতামাতাকে যেমন মেনে চলার কথা বলে ,তেমনি পিতামাতা বৃদ্ধ হলেও তাদের প্রতি নম্র, সদয় ও সুন্দর ব্যবহার করা উচিত , তাদের প্রতি অনুগত ও বাধ্য হতে হবে একথাও বলে ।