উত্তর : মীমাংসকগণ অর্থাপত্তিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন । যথা – ( ১ )দৃষ্ট অর্থাপত্তি বা দৃষ্টাৰ্থাপত্তি এবং ( ২) শ্রুত অর্থাপত্তি বা শ্রুতাৰ্থাপত্তি ।
দৃষ্ট অর্থাপত্তি : যে ক্ষেত্রে দৃষ্ট কোন বিষয়ের অসংগতির ব্যাখ্যার জন্য অদৃষ্ট কোন বিষয়ের কল্পনা করা হয় তখন সেই অর্থাপত্তিকে দৃষ্ট অর্থাপত্তি বলে । যেমন — কোন ব্যক্তি যখন বলেন যে দেবদত্ত বেঁচে আছেন অথচ যদি তিনি বাড়িতে না থাকেন তাহলে ‘বেঁচে থাকা’ এবং বাড়িতে না থাকার মধ্যে যে বিরােধ বা অসংগতি সেই অসংগতি দূরীকরণের ক্ষেত্রে যখন কল্পনা করা হয় দেবদত্ত বাইরে আছেন । যেহেতু যে জীবিত সে বাড়িতে না থাকলে অন্য কোথাও আছেন । এক্ষেত্রে, দেবদত্তের বাইরে থাকার যে কল্পনা তাই দৃষ্ট অর্থাপত্তি ।
শ্ৰত অৰ্থাপত্তি : যেক্ষেত্রে কোন শ্রুত বিষয়ের অর্থকে বােঝার জন্য অর্থাপত্তি নামক প্রমাণ ব্যবহার করা হয় তখন সেই অর্থাপত্তিকে বলা হয় শ্রুত অর্থাপত্তি বা শ্রুতাৰ্থাপত্তি । যেমন রাম না খেয়েই অফিসে গেছে — এরূপ বাক্য শ্রবণ করে কল্পনা করা হয় যে রাম ভাত না খেয়ে অফিসে গেছে । কাজেই এক্ষেত্রে ভাত - এর যে কল্পনা তাই শ্রুত অর্থাপত্তি বা শ্রুতার্থাপত্তি ।