প্রশ্ন । একটি মন্দ উপমা যুক্তির উদাহরণ দাও :
উত্তর : মানুষের মতাে পশুদের চোখ , কান , নাক , স্নায়ুতন্ত্র আছে । মানুষ চিন্তা করতে পারে । তাই সিদ্ধান্ত করা যায় , পশুরাও চিন্তা করতে পারে ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তির গুরুত্ব মূলত কোন্ শর্তের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর : উপমাযুক্তির গুরুত্ব দৃষ্টান্তে প্রাসঙ্গিকতার ওপর নির্ভর করে । যুক্তিটিতে দৃষ্টান্তগুলি সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে যতবেশি সংখ্যক প্রাসঙ্গিক বলে সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনাও ততােধিক বেড়ে যাবে । তবে মনে রাখতে হবে উপমা যুক্তির সিদ্ধান্ত কখনই সুনিশ্চিত হয় না ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তির সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য কেন ?
উত্তর : উপমাযুক্তি কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয়ের চেষ্টা করে না । তাই এর সিদ্ধান্ত সর্বদা সম্ভাব্য হয় ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তির মূল্যায়নের মানদণ্ড উল্লেখ করাে ?
উত্তর : উপমাযুক্তির ক্ষেত্রে জগৎ সাদৃশ্যের সংখ্যা যত বেশি হবে , উপমাযুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভব্যতাও তত বেশি হবে ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তিকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উত্তর : উপমাযুক্তিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা ( ক ) ভালাে উপমাযুক্তি ও ( খ ) মন্দ উপমাযুক্তি ।
প্রশ্ন । মন্দ উপমার সংজ্ঞা দাও ।
উত্তর : যে উপমাযুক্তিতে সাদৃশ্যের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা অপেক্ষাকৃত কম বা বলা যায় সাদৃশ্যগুলি বেশিরভাগই অপ্রাসঙ্গিক , একে বলে মন্দ উপমাযুক্তি ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তি বা সাদৃশ্যানুমান কাকে বলে ?
উত্তর : দুটি বস্তুর মধ্যে কোনাে কোনাে বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ করে তারই ভিত্তিতে যখন উভয়ের মধ্যে অন্য কোনাে সাদৃশ্যের অনুমান করা হয় । তখন তাকে উপমাযুক্তি বা সাদৃশ্যানুমান বলে ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তির একটি বৈশিষ্ট্য লেখ ।
উত্তর : উপমাযুক্তির ক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক বস্তুর মধ্যে বেশ কতকগুলি বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ করে সিদ্ধান্ত করা হয় যে ,তাদের মধ্যে আরও একটি বিষয়ে সাদৃশ্য থাকতে পারে ।
প্রশ্ন । উপমাযুক্তিকে কী আরােহ অনুমান বলা যায় ?
উত্তর : হ্যা , কারণ এখানে জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে যাওয়া যায় ।
প্রশ্ন । ভালাে উপমাযুক্তির একটি দৃষ্টান্ত দাও ।
উত্তর : মানুষের মতাে পশুদেরও হৃদয় আছে । সুতরাং , মানুষের মতাে পশুদেরও বেদনাবােধ আছে ।
প্রশ্ন । মন্দ উপমাযুক্তির একটি দৃষ্টান্ত দাও ।
উত্তর : মানুষের মতাে পশুদেরও হাত , পা , চোখ , নাক , কান ইত্যাদি আছে । সুতরাং মানুষের মতাে পশুদেরও চিন্তা শক্তি আছে ।